ষষ্ঠীতে পাতে থাকুক সাদা ইলিশ

কমলিকা সেন

পুজো মানে যেমন বিস্তর কেনাকাটা, এখানে সেখানে ঘোরাঘুরি... কাছে কিংবা দূরে।

পুজোর আরেকটা অবিচ্ছেদ্য মানেও কিন্তু ভুরিভোজ। সে হউক না ঘরে কিংবা বাইরে। শুধু পুজো কেন বাঙালির কোনও উৎসবই কিন্তু রসনা আস্বাদনের বাইরে নয় একেবারেই। এবার যেহেতু সময়টা একেবারেই অন্যরকম তাই পুজোর সব আনন্দও এবার অন্যমাত্রায় উদযাপন করতে হচ্ছে বাঙালিকে। সে কথা মনে রেখেই এমন কিছু রসনাতৃপ্তির ব্যাঞ্জন-কথা রইল ‘এখন শান্তিনিকেতন’-এর পুজোসংখ্যার ই-সংস্করণ ‘শারদোৎসব’-এ।  

দু’পার বাংলার শারদীয় উৎসবই আমি দেখেছি। দু’বাংলার সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে বেড়ে ওঠার সুবাদে তাই জানি দু’পারের ভোজ। এবারের পুজোতে পূর্ব বাংলার অর্থাৎ বাংলাদেশের কিছু পদের কথা বলি। 

মহামারির পরিস্থিতিতে আসুন না আমরা সবাই এবার বাইরের ঘোরাঘুরি এবং খাদ্য অন্বেষণের ইচ্ছেটাকে এবছরের মতো বিদায় জানিয়ে ঘরে বসে বরং বাঙালিয়ানার ভোজনপর্ব গুলোকে পুরোপুরিভাবে উপভোগ করি! মহাষষ্ঠীতে পাতে রাখুন পূর্ববাংলার বিখ্যাত জেলা বিক্রমপুরের একটি অতি পরিচিত এবং সুস্বাদু ইলিশ পদ।

উপকরণ : ইলিশ মাছ ছয় টুকরো (একটু মোটা বা ভারী করে টুকরো করা), সরষের তেল ১/৪ কাপ, ঘি দুই টেবিল চামচ, দুই টেবিল চামচ পেঁয়াজ কুচি, পেঁয়াজ বাটা ১/৪ কাপ, আদা রসুন পেস্ট এক চা চামচ, ধনে গুঁড়ো ১/২ হাফ চা চামচ, টক দই তিন টেবিল চামচ, দুধ এক কাপ, জল সামান্য, চিনি এক থেকে দুই চা চামচ, লবন স্বাদমতো। এবং পেঁয়াজ বেরেস্তা বা ভাজা পেঁয়াজ এক কাপ ও কাঁচামরিচ ছয় থেকে আটটি বা বা কাঁচালঙ্কা।

রন্ধন প্রণালি : প্রথমে একটি কড়াইতে তেল গরম করে তাতে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালোভাবে নাড়তে হবে। পেঁয়াজটা একটু নরম হয়ে আসলে তাতে পেঁয়াজ বাটা, আদা রসুন পেস্ট, ধনে গুঁড়ো দিয়ে ভালভাবে ভাজতে বা কষাতে হবে সামান্য জল দিয়ে। তারপর এতে টক দই দিয়ে ভালভাবে কষিয়ে তাতে আবার দুধ দিয়ে ভালোভাবে নাড়তে হবে। এবার ঝোলটা ফুটে উঠলে তাতে আগে থেকে কেটে ধুয়ে লবন মাখিয়ে রাখা মাছের টুকরোগুলো দিয়ে দিতে হবে। ঝোলটা যখন কিছুটা টেনে আসবে তাতে চিনি দিয়ে কাঁচালঙ্কা একটু চিড়ে দিতে হবে এবার কড়াইটা ঢেকে দিতে হবে কম থেকে মাঝারি আঁচে পাঁচ থেকে দশ মিনিট মতো। মাছের ওপরে যখন তেলটা ভেসে উঠবে তখন এতে ঘি দিয়ে নামিয়ে এর ওপরে পেঁয়াজ বেরেস্তা দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করতে হবে। হয়ে গেল ষষ্ঠীর স্পেশাল  মেনু! সাদা ইলিশ!